কি পাচ্ছেন আর কি দিচ্ছেন ?
আমরা সব দেওয়া-নেওয়াকেই প্রায় সবাই টাকার অঙ্কে বিচার করতে চাই | এটা হয়তো দোষের কিছুই নয়, এমনকি শিক্ষাকেও আমরা কতটা শিক্ষা পেয়েছি এবং তার জন্য কত টাকা খরচ করেছি তার নিরিখে হিসাব করি |
এটা অবশ্যই ঠিক যে ব্যক্তিগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যবসায়িক মনোভাব অবশ্যই আছে এবং থাকবেই এবং থাকতেই হবে, কারণ অর্থ লাভ না করলে প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না এবং এটাও ঠিক যে অধিক খরচ না করিলে শিক্ষার গুণগত মানও বজায় রাখা সম্ভব হবে না বা হয় না | তাই ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান অর্থ লাভ করবেই এবং করতেই হবে, শুধু তাই নয় কোন কোন প্রতিষ্ঠান অধিক লাভের চেষ্টাও করে এবং করবে, তার গুণগত মান ও সুনাম দিয়ে |
তাহলে আমরা কি করব? শিখব কি শিখবোনা? এত টাকা খরচ করবো কি করবো না? শিখে কি হবে বা হবে না? ইংরেজি জানলেই বা কি আর না জানলেই বা কি? এ সব কথাই আমাদের ভুলে গেলে ভালো হয়। এজন্য যে সামান্য কিছু টাকা খরচ করে ( অবশ্যই শিক্ষার উপকারের সাথে তুলনা করে | যদিও সামান্য কথাটা সকলের কাছে সামান্য নয়) আপনি যা পেতে পারেন যে কথা ভেবে |
তার মানে আসল হিসাব এই দাঁড়াচ্ছে, যে ইংরেজি শেখা আর না শেখার মূল্য ৫০০০/ ১০০০০/ ১৫০০০/ ২০০০০ টাকা| যারা ইংরেজি শেখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে তারা কিন্তু ৫০০০/ ১০০০০/ ১৫০০০ / ২০০০০ টাকার বিনিময়ে যদি কোন “ইংরাজি ইনজেকশন” পাওয়া যেত, সেটা নিলেই ইংরেজিতে কথা বলা যেত সেটা অনায়াসেই কিনে নিত|
তফাৎ একটাই, আমাদের না আছে ধৈর্য না শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ও বাস্তবিক ধ্যানধারণা|, তাই আমরা সবসময়ই চটজলদি Ready made solution খুঁজি| খুঁজে সাফল্য না পেয়ে আরো একটা Ready made solution খুঁজি,আমরা সবাই আজও খুঁজেই চলেছি।
আমি বলছি আমারও হবে না, আপনারও, কারও নয় | দ্বিতীয় ভাষা বা বিদেশি ভাষা শেখার বিজ্ঞানটা বুঝতেই হবে | টাকা আমাকে এবং আপনাকে খরচ করতেই হবে। তবুও তো Donation নয় যা আমি বা আমরা অনেকেই হাসি মুখেই দিই | আমাদের টাকাটা কিন্তু কষ্ট করেই আপনাকে দিতেই হবে | কোন উপায়ও নেই | উপায় খোঁজার চেষ্টা বৃথা | তার জলজ্যান্ত প্রমাণ আমরা নিজেরাই | বহু চেষ্টার পরেও ইংরেজিতে কথা না বলতে পারা জনগণ।